ঢাকা: ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সড়কের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় সড়ক দুর্ঘটনা আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতরা হলেন- নুরআলম (৩০) ও তার স্ত্রী অনামিকা (২২)।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। এ ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকার যাত্রী অনামিকার মা আমেনা বেগম (৪৫), বোনের মেয়ে ইমি, (২৬) রিহা (১২) ও অনামিকার আড়াই বছরের ছেলে আয়াজ। অন্য পরিবারের আব্দুলাহ (৭)। সে মোটরসাইকেলে ছিল তার পরিবারের সঙ্গে। এ ঘটনায় আরও ১০ জনের মতো আহত হন।
আহত অনামিকার জা নিপা আক্তার জানান, অনামিকা স্বামী-সন্তান নিয়ে শনির আখড়া এলাকায় থাকেন। তার বাবার বাসা জুরাইন এলাকায়। কিছুদিন আগে অনামিকার ফুফা মারা যান। সকালে অনামিকা মা-বোন-স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারযোগে গোপালগঞ্জে তার ফুফুর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় উঠলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। খবর পেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে অনামিকা ও নুরআলমকে আহত অবস্থায় দেখতে পান। বাকিদের মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, টোলপ্লাজায় একজন মোটরসাইকেলচালক টোল পরিশোধ করছিলেন। মোটরসাইকেলটির পেছনে সিরিয়ালে ছিল মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। এ সময় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুতগতিতে টোলপ্লাজায় ঢুকে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে চলে যায়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি জানান, টোল দেওয়ার জন্য মাওয়ামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে পাঁচজন মারা যান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালে রয়েছে। বাসটি জব্দ করা গেলেও এর চালক পালিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
এজেডএস/আরবি