ঢাকা: তাবলীগ জামাতের ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা করে সাদপন্থি সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় তিনজন শহীদ হন এবং শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল তাবলীগ জামাতের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি উত্তরা জামিয়াতুল নুর আর কাসেমিয়ার মহাপরিচালক হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে হামলাকারীদের বিচার দাবি করা হয়।
হাফেজ নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর রাতে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার পর সরকারের কাছে আমরা বিচার চেয়েছিলাম। মামলা হয়েছে। সরকার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে বসে কীভাবে একটি সমাধান বের করা যায়। কিন্তু তার আগেই সন্ত্রাসীরা হামলা করে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর।
ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ প্রশাসন তথা সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা আবারও সরকারকে বলে দিতে চাই। সরকারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা আলেম সমাজকে নিবৃত করেছিলাম।
নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, আমরা সরকারকে বলেছি, সাদপন্থিদের বিদেশি অপশক্তির সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিরীহ মুসল্লিদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে আগামী ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এরমধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ২৫ জানুয়ারি সারা দেশে প্রতিনিধিত্বকারী আলেমদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন করা হবে। এর মধ্যে সাদপন্থি তাবলীগকে বিচারের আওতায় না আনলে ওলামা সম্মেলনেই পরবর্তী করণীয় ঘোষণা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মহিববুল্লাহ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হক, ফজলুল করিম কাসেমীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উলামায়ে একরামদের মুরব্বিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
টিএ/আরআইএস