যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত কূটনীতিক ডোনাল্ড লুর পররাষ্ট্র দপ্তর অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগে ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি পদে তার মেয়াদের সমাপ্তি ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে এক বার্তায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে আসা লু’র মেয়াদ ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে।
ডোনাল্ড লু দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক কূটনীতিক হলেও তিনি বহুর পরিচিত ছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে ও পরে ডোনাল্ড লু দুই দফায় ঢাকা সফর করেন।
পাকিস্তানের রাজনীতিতেও তার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। তাকে ইমরান খানের ‘সরকারের পতনের কারিগর’ বলে মনে করে তার দল পিটিআই। যদিও তা বরাবরই নাকচ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
ডোনাল্ড লু গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার ওই সেই সফরের আগে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ‘ডামি’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবেন তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
হাসিনার সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে আবার ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। সেসময় অবশ্য তার সঙ্গে আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক এসেছিলেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন লুসহ মার্কিন কূটনীতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৫
এইচএ/