ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলপাড় বস্তিতে আগুন

৫০০ ঘর পুড়ে ছাই

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
৫০০ ঘর পুড়ে ছাই

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাটসুর এলাকার পুলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০টি বাড়ির ৫০০ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন বছর বয়সী এক শিশুরও।

এছাড়া, পুড়ে গেছে ৪০টি দোকানও।

এ ক্ষয়ক্ষতিতে পুলপাড় বস্তিতে এখন শোকের মাতম চলছে। সব হারিয়ে বস্তির বাসিন্দারা পথে বসেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, সকালে প্রতিবেশী সিদ্দিকের বাড়ির আশপাশ থেকে আগুন-আগুন বলে চিৎকার শুনতে পাই। আমরা ছুটোছুটি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ঘূর্ণি বাতাস বেশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে আনুমানিক ৫০০-৬০০ ঘর পুড়ে গেছে।

সাইদুর মিয়া  নামে অপর এক স্থানীয় বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে যাবো বলে সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। উঠেই আগুনের চিৎকার শুনি। প্রাথমিকভাবে আমরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানো শুরু করে।

নুরুল হক ও সাইদুর মিয়া জানান, বসতি ঘর পুড়ে এখানকার লোকজন এখন পথে বসেছে। সর্বস্ব হারিয়ে বস্তিবাসীরা কোথায় যাবেন সে দুঃশ্চিন্তা ভর করেছে তাদের চোখেমুখে।

রোববার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় বাংলানিউজ।

আগুন নিয়ন্ত্রণে মোহাম্মদপুর, পলাশী, লালবাগ ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ মিলিয়ে ফায়‍ার সার্ভিসের মোট ১০ ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বলে সকাল ৯টার দিকে বাংলানিউজকে জানান ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষের জয়েন্ট ডিউটি অফিসার নাজমা আক্তার।

পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী জসিম বাংলানিউজকে জানান, আগুন এখন পুরোপুরি ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে। তবে ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি ঘরের গৃহকর্ত্রী মনোয়ারা বাংলানিউজকে বলেন, আগুনে আমার ঘরসহ অন্তত ৪০টি দোকান ও ৫০টি বাড়ি পুড়ে গেছে।

তারও আগে ঘটনাস্থলে স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি করেন, অগ্নিকাণ্ডের পর উদ্ধারকালে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফাতেমা নামে ওই শিশুকে বাসায় ঘুমন্ত রেখে তার বড়বোনকে নিয়ে মা আসমা স্কুলে গেলে অগ্নিকাণ্ডে ওই শিশুর মৃত্যু হয়।

মনোয়ারা জানান, তিন তলা একটি টং ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বস্তির পূর্ব পার্শ্বের ঘরগুলো বেশি আগুনে পুড়েছে। এছাড়া, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম পার্শ্বের ঘরগুলোও।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরু পথ হওয়ায় বস্তিতে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ফায়ার সার্ভিসকে বেশ বেগ পেতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।