ঢাকা: ভবন তৈরিতে অনুকরণ নয়, নিজেদের মেধা-চিন্তা, সৃষ্টিশীলতা আর বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্থাপত্য শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশের আবহাওয়া,পরিবেশসহ সব বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করতে হবে ভবনের নকশা।
শনিবার (১৭ জানুয়ারি) দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্থাপত্য সম্মেলনের শেষ দিনে এ পরামর্শ দেন বক্তারা।
রাজধানীর বিজয় সরণি সামরিক যাদুঘরে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে প্রথম পর্বে আলোচনা করেন বাংলাদেশের স্থপতি বশিরুল হক ও মালয়েশিয়ার ইকো-আর্কিটেক্ট কেন ইয়েং।
কীভাবে স্থাপত্যের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ভিত ধারণ, টেকসই নগরায়নের ধারণা ও পরিবেশ রক্ষা করে ভবনের নকশা তৈরি করা যায় তা তুলে ধরেন স্থপতি বশিরুল হক।
দ্বিতীয় পর্বে আলোচনায় শ্রীলঙ্কার স্থপতি পালিন্দা কান্নানগারা, লস অ্যাঞ্জেলস আরবান ডিজাইনার এবং স্থপতি ফারুক আমিন ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ অব আর্কিটেকচারের ডিন প্রফেসর কনজিয়ান ইয়ু বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, সমাধান নিজেদেরই বের করতে হবে। তবে স্থাপত্যে এগিয়ে যেতে হলে দরকার যথাযথ প্রশিক্ষণ। ভালো সুযোগ পেলে এ শিল্পে সবাই অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারবে।
‘এনগেজ ঢাকা ২০১৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক স্থাপত্য সম্মেলনের আয়োজনে ছিল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি বিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দেশ-বিদেশের স্থপতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের শেষ দিনে মাঘের বৃষ্টি অনুষ্ঠানের কার্যসূচি উল্টে-পাল্টে দেয়। সকাল ১০টার অনুষ্ঠান শুরু হতে হতে বাজে বেলা তিনটা। এরপরও প্রাকৃতিক কারণে বিঘ্নিত সম্মেলনের।
বাংলাদেশ সময়: ০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫