ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ইজতেমার পথে পায়ে হেঁটে লাখো মুসল্লি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
ইজতেমার পথে পায়ে হেঁটে লাখো মুসল্লি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমার পথে চলছেন লাখো মুসল্লি। রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টার মধ্যেই রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় দেখা গেলো গাড়ি আর চলছে না।

হাজার হাজার মুসল্লি পায়ে হেঁটে ছুটছেন তুরাগ তীরের উদ্দেশ্যে।

অনেকেই যাচ্ছেন পিক-আপ ভ্যানে, ট্রাকে করেও। ছাদ বোঝাই হয়ে ট্রেন ছুটছে মুসল্লিদের নিয়ে। যারা আর হাঁটতে বা এগুতে পারছেন না তারা বসে যাচ্ছেন কুড়িল এলাকাতেই।

সবাই অংশ নেবেন আখেরি মোনাজাতে।
 
বেলা ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সা’দ, এমনটাই বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির একজন মুরুব্বি।

ওদিকে, এরই মধ্যে যারা তুরাগ তীরে পৌঁছে গেছেন তারা বয়ান শুনে আর ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল হয়ে সময় পার করছেন।

১৬ জানুয়ারি শুক্রবার আম বয়ান দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। হরতাল-অবরোধে প্রথম দিনে মুসুল্লিদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও ‍দ্বিতীয় দিন শনিবারেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা।

এরমধ্যে শনিবার সকালে হয়ে যাওয়া বৃষ্টিতে বিছানা ও কাপড় চোপড় ভিজে যায় অনেকের। মাঘের শীতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। দুর্ভোগ উপেক্ষা করেই মুসুল্লিরা যে যেভাবে পারছেন সেখানেই ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

একাধিক মুসুল্লি বলেন, ইজতেমা ময়দানে থাকা-খাওয়া নিয়ে কোনো কষ্ট নেই। ঈমান, আখলাক ও দীনের দাওয়াতি বয়ান শুনে আর আমল করেই সময় কেটে যাচ্ছে। এসব কষ্ট কোনো বিষয় না।

একই কথা যারা যানজটের কারণে পায়ে হেঁটেই ইজতেমার পথ ধরেছেন তাদেরও।

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আশপাশে প্যান্ডেলে জায়গা না পেয়ে নিজ উদ্যোগেই পলিথিন টানিয়ে ইজতেমায় শরিক হয়েছেন মুসুল্লিরা।

চলতি বছরের ৯-১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।  

** সকাল ১১টায় আখেরি মোনাজাত

বাংলাদেশ সময় ০৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।