টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: শীত, বার্ধক্যসহ অন্যান্য কারণে ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে মোট ১৭ জন মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে মৃত্যুবরণ করেন(ইন্নালিল্লাহে.....রাজেউন)।
৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইজতেমার ১ম পর্বে শীতজনিত রোগে ৭ জন মুসল্লি মারা যান।
তারা হলেন, আব্দুস সোবাহান (৬৫), পিতার নাম সাহেব আলী। বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার হরিচাঁদপুর গ্রামে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বুলারধারী এলাকার মকবুল হোসেন (৭৫)। সিলেটের জকিগঞ্জ থানার কাদিরপুর এলাকার সাদেকুর রহমান (২০)। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার সুবলপুর এলাকার তোয়াজ্জেল হোসেন (৫০)। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাঝের নগর গ্রামের মৃত. নাদের মণ্ডলের ছেলে মো. কফিলউদ্দিন (৫৫)।
ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৫০) ও গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কির্তনীয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম (৬০) এবং অজ্ঞাত নামা দুই জন।
১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে মারা গেছেন ৮ মুসল্লি।
তারা হলেন, আ. রহমান (৬৫), বাড়ি বগুড়ার শাহজাহানপুরে। আব্দুল কুদ্দুছ (৬২), বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ডুমনীতে।
এর আগে বুধবার রাতে বিল্লাল হোসেন (৩০) নামে এক মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে বাথরুমে পরে গিয়ে মারা যান। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তিনি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরুর আগে থেকেই ময়দানের কাজে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন।
এছাড়া নীলফামারীর পলাশবাড়ি এলাকার মৃত বদর উদ্দিন খানের ছেলে গোলাম আজম খান (৫৫), মৌলভী বাজারের জুড়ি থানার ভোগতারা গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে বশির মিয়া (৫৫) ও বরিশালের টিকাশ্বর এলাকার মতলব হাওলাদার ওরফে রহম আলী হাওলাদারের ছেলে আলী আজম হাওলাদারসহ (৬৪) অজ্ঞাত নামা ২জনও দ্বিতীয় পর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এর আগে, ২০১৪ সালে ১৬ জন ও ২০১৩ সালে ২১ জন মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় এসে মার যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫