ঢাকা: আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন মুসল্লিরা। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের চলমান অবরোধে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা।
আশপাশের জেলা ও মহানগর থেকে আসা মানুষদের অনেককেই পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইজতেমা গাড়িতে হামলা হবে না এমনটা মনে করেই মুসল্লিরা ফিরছেন বাড়িতে। তবে তাদের মধ্যে উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা রয়েছে।
ইজতেমা ময়দানকে ঘিরে ১২ কি.মি. এলাকায় এখন মানুষ আর মানুষ। মোনাজাত করা অবস্থায় অনেকে মূল প্যান্ডেল থেকে হাঁটতে হাঁটতে পার্কিং করা যানবাহনের কাছে গেছেন। মুসল্লিরা গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িগুলো ছেড়ে গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ, ঢাকা-চট্রগ্রামসহ আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার সকল রুটে যানবাহনের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। একই অবস্থা রেল ও নৌপথেও দেখা যাচ্ছে।
আখেরি মোনাজাতের পর টঙ্গীর ইজতেমা প্রাঙ্গণসহ পুরো গাজীপুর জেলায় টহল জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন। ইনশাল্লাহ্ কোন সমস্যা হবে না।
এর আগে রোববার বেলা ১১টা ২২ মিনিটে টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাতে ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমার এবারের আয়োজন।
ভারতের মাওলানা মো. সাদের পরিচালনায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা মোনাজাতে শরিক হন দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি।
ইজতেমা ময়দান ছাড়াও মাঠের আশপাশের রাস্তা ও অলিগলি, বাসা-বাড়ি-কলকারখানা-অফিস ও দোকানের ছাদ, যানবাহনের ছাদ ও তুরাগ নদীতে নৌকায় বসে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে শরিক হন মুসল্লিরা।
গত শুক্রবার(১৬ জানুয়ারি’২০১৫) শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি শুরু হয় প্রথম পর্বের ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয় ১১ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫