ঢাকা: বিশেষ নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছে রাজধানীর অভিজাত এলাকা ও কূটনীতি পাড়া গুলশান-বারিধারা অঞ্চল। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে ওই এলাকায়।
রোবাবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই গুলশান-বারিধারায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গুলশান-বারিধারা ঘুরে দেখা গেছে, গুলশান ও কূটনীতি পাড়ার প্রতিটি প্রবেশ পথে কড়া পাহারায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। কোনো প্রবেশ পথ দিয়েই গুলশানের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না গণপরিবহণ।
এমনকি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়েও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে গণপরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল শূন্যও হয়ে পড়েছে গুলশান অঞ্চল। তবে পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা গুলশান ও কূটনীতি পাড়ায় ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
হাতিরঝিল দিয়ে গুলশান এক নম্বরে ঢুকতেই চেকপোস্ট বসিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ চেক পোষ্ট থেকে গুলশান অঞ্চলে ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মোটরসাইকেল চালকদের। তবে তল্লাশির মাধ্যমে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রতিটি ব্যক্তিগত গাড়ি তন্যতন্য করে তল্লাশি করা হচ্ছে। ফলে হাতিরঝিলের ভিতরে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপে বেশ যানজটও সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মহাখালি, বনানী, বাড্ডা ও নতুন বাজার দিয়ে গুলশান অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো গণপরিবহন। ফলে গণপরিবহনের যাত্রীদের গুলশান অঞ্চলে ঢুকতে বাড্ডা লিংক রোড, মহাখালী আমতলী, নতুন বাজার লিংক রোড ও কাকলী থেকে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশাযোগে আসতে হচ্ছে। রিকশা যাত্রীদের এসব প্রবেশ পথ দিয়ে গুলশানে ঢোকার সময় একাধিকবার তল্লাশি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫