ঢাকা: ‘শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাচ্ছে বলেই কি তাদের পোড়াতে হবে! বাসে অগ্নিসংযোগ করে তাদের শরীর ঝলসে দিতে হবে’ বলে অবরোধ সমর্থনকারীদের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে ও অধিকারের কথা বলে যারা অবরোধ করছেন, যদি সত্যিই বিষয়টি তা হতো; তবে মানুষ মেরে তারা আন্দোলন করতেন না।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ব পাশের (খেজুর বাগান এলাকা) রাস্তায় বাসে পেট্রোল বোমা মেরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইডেন কলেজের দগ্ধ ছাত্রীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশে সকল পরীক্ষার তারিখ আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। ছয় বছর ধরে একইভাবে কলেজে ফরম পূরণের তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে। আজ ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীরা ফরম পূরণের জন্যই কলেজে যায়। এ সময় তারা অগ্নিদগ্ধ হলো।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাবে। পড়াশোনা করবে। তাতেই কি তাদের ওপরে হামলা করতে হবে! যারা এ হামলা করেছে ও করছে তারা মানুষ নয় পশু। যারা এই ধরনের আন্দোলন করছে সেটা জনগণের কল্যাণেও নয়।
‘গত বছরও (২০১৪ সালে) নতুন বই দেওয়ার সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর এ রকম হামলা হয়েছে। এবারও তাই হচ্ছে। যারা নাশকতাকারী তারা পরিকল্পনা করেই এমনটা করে। যাতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়’- বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আহত ওই তিন ছাত্রীকে দেখতে এসে মন্ত্রী তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এরআগে, রোববার দুপুরে বিকল্প পরিবহনের ওই বাসে আগুন দেয় অবরোধ সমর্থকরা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সাথী আক্তার (১৯) ও জুঁথি আক্তার (১৯) ও মাইমুনা আক্তার (১৯)। তাদের মধ্যে সাথী ও জুঁথির পা ঝলসে গেছে। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছেন মাইমুনা। তারা সবাই ইডেন কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সংসদ ভবনের ১০ নম্বর গেটের কাছে বিকল্প পরিবহনের ওই বাসে (ঢাকা মেট্রো- ঘ- ১১- ২৬৬৬) পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
** ইডেনের দগ্ধ ছাত্রীদের দেখতে ঢামেকে শিক্ষামন্ত্রী