ফরিদপুর: পানির চরম সংকটে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ফরিদপুর পৌরবাসীকে। পৌর এলাকার অর্ধেক নাগরিককেও পানি সরবরাহ করতে পারছে না পৌরসভা।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর পৌরসভার বর্তমান জনসংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজার। পানির গ্রাহক (হোল্ডিং) সংখ্যা পনের হাজারের বেশি। এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর প্রতিদিনের পানি সরবরাহের জন্য পৌরসভার রয়েছে মাত্র দু’টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এর একটি শহরের ঝিলটুলীতে এবং অপরটি আলীপুর ব্রিজের কাছে। এ দু’টি প্লান্টে রয়েছে মোট ১২টি পাম্প, যার মধ্যে ৩ থেকে ৪টি প্রায় সময়ই নষ্ট থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা পৌর এলাকার মধ্যে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার গ্রাহককে (হোল্ডিং) পানি সরবরাহ করে। দিনে তিন দফা পানি সরবরাহ করা হলেও তা গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অভিযোগ রয়েছে, দিনে যে পরিমাণ পানি দেওয়া হয়, তা অতি সামান্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার পানি সরবরাহের পাইপলাইন পুরোনো হয়ে যাওয়ায় পাইপে ঠিকমতো পানি আসছে না।
গোয়ালচামট এলাকার আবুল ফয়েজ বলেন, বাড়িতে পৌরসভার পানির লাইন আছে। তবে পানির সরবরাহ এতো কম যে, তা কোনো কাজেই আসে না। টিপটিপ করে পানি আসে, এক বালতি ভরতেই সময় লাগে আধা ঘণ্টা। অথচ বিল দিতে হয় নিয়মিত।
রঘুনন্দনপুর এলাকার বাসিন্দা কাওছার খান জানান, ওই এলাকার একটি অংশ আরো ১০ বছর আগে পৌরসভার অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। এ দশ বছরে রোডলাইট ছাড়া তারা পানিসহ কোনো সুবিধাই পাননি। তাদের মতো হাজারো পৌর নাগরিকের একই সমস্যা।
পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, দু’টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দিয়ে যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করা যায়, তা অর্ধেক নাগরিক ব্যবহার করতে পারেন।
বাকি অর্ধেক নাগরিককে পানির সুবিধা দিতে পারেন না স্বীকার করে পৌর মেয়র বলেন, আরো দু’টি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করার প্রক্রিয়া চলছে। এ দু’টি হলেই সবাইকে পানি দেওয়া সম্ভব হবে। শিগগিরই নতুন আরো একটি পানি সরবরাহ কেন্দ্র ও পানির ট্যাঙ্ক নির্মাণ এবং পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পানির পাইপলাইন স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫