ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কেউ জানে না ট্রেনের খবর!

আদিত্য আরাফাত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
কেউ জানে না ট্রেনের খবর! ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কমলাপুর স্টেশন থেকে: ‘ট্রেন কখন আসবে ভাই…?’ যাত্রীদের এমন প্রশ্নের উত্তর সোজা-সাপটা দিতে পারছেন না কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক। স্টেশনের এলইডি মনিটরে ট্রেনের সময়সূচি দেওয়া থাকলেও তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।


 
এমএসএস করে ট্রেনের অবস্থান জানতে চালু হওয়া যন্ত্র ভেহিকেল ট্রেকিং সিস্টেমও (ভিটিএস) এখন কার্যত ‘অচল’ থাকায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে এ ব্যবস্থা চালুর কথা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও এর সুফল পাচ্ছেন না যাত্রীরা। ফলে ট্রেনের অবস্থান সম্পর্কে জানতেও পারছেন না তারা।
 
রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশনে থেকে দেখা গেছে, আন্ত:নগর বেশিরভাগ ট্রেনেরই শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বসে, ঘুমিয়ে দিন পার করছেন স্টেশনে।
 
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী  বাংলানিউজকে বলেন,  সময়সূচিতে পরিবর্তন হলেও সব ট্রেনই চলছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্থানে ট্রেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কমানো হচ্ছে। এ কারণে সব ট্রেনের শিডিউল ধরে রাখা যাচ্ছে না।
 
রোববার প্রায় সবকটি আন্ত:নগর ট্রেনের শিডিউল বিপর্য্যয় ঘটেছে। শনিবারের অনেক ট্রেন ছেড়েছে রোববার। ৫ থেকে ৩৫ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে আন্ত:নগর ট্রেনগুলো।
 
কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালের খুলনাগামী সুন্দরন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ও রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সন্ধ্যায়ও ছাড়েনি। এছাড়া ময়মনসিংহগামী ইশা খান এক্সপ্রেস, নোয়াখালীগামী উপকূল, ইশ্বরদীগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু সেতুগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস কখন স্টেশন পৌঁছাবে এবং গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়বে তার সঠিক সময়ও বলতে পারছেন না কমলাপুর স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
 
রোববার সকাল থেকে  পরিবার-পরিজন নিয়ে প্লাটফরমে অপেক্ষা করছেন কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যের কয়েক হাজার যাত্রী।
 
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। যাত্রীদের অভিযোগ, শিডিউল বিপর্যয়ের জন্য কর্তৃপক্ষই দায়ী। ইচ্ছা করলে কর্তৃপক্ষ শিডিউল বিলম্ব দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন। অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ট্রেন ধীরগতিতে চলছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।