ঢাকা: সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ বিমানে কর্মরতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কালো তালিকাভুক্ত করারও সুপারিশ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির অষ্টম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি জানান, প্রতিনিয়নত খবর প্রকাশিত হচ্ছে যে সোনা চোরাচালানের সাথে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। এই খবর আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তাই এটি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করা হয়। বিমান পরিচালনা পর্ষদকে এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ ক্রয়ের নীতিমালা এবং সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাবলীর বিষয়ে উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে দেশে-বিদেশে পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অংশগ্রহণের পরিকল্পনা ও ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬টি স্থানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় ৪৪ বার সফলতার সাথে অংশগ্রহণের বিবরণ তুলে ধরা হয়। কমিটি ২০১৬ সালকে জাতীয় পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানায়।
কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, মো. আফতাব উদ্দীন সরকার এবং সাবিহা নাহার বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫