ঢাকা: সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তির রমরমা অবস্থায় পিছিয়ে থাকা দেশের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগও রয়েছে। সবক্ষেত্রে সেকেলে অবস্থা বিরাজমান।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দেওয়া সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যতোক্ষণ না টেকসই ও সাশ্রয়ী তথ্যপ্রযুক্তিকে এ অঙ্গনে সমন্বিত না করবো, ততোক্ষণ পর্যন্ত এই ডিজিটাল সময়ে আমরা বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে পারবো না।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুসারে আমাদের আদালত ব্যবস্থা কোনো ডিজিটাল প্রমাণ বা ইলেকট্রনিক যোগাযোগকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃতি দেন না।
আমাদের আইন ব্যবস্থার উপযোগী এবং সামর্থ্যের মধ্যে থাকা একটি আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার সময় এসেছে। আদালতে বিচারিক ও প্রশাসনিক কাজ করতে বিশেষায়িত সফটওয়ার চালু করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি এস কে সিনহা।
২০০৮ সালে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ডিজিটাল কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে যথাক্রমে এসএমএস পদ্ধতি ও ডিজিটাল কজলিস্ট (কার্যতালিকা) চালু করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকা, সংক্ষিপ্ত আদেশ এবং সুপ্রিম কোর্টের যাবতীয় নোটিশ পাওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
আপিল বিভাগের কজলিস্ট পাওয়া গেলেও হাইকোর্টের বেশিরভাগ বেঞ্চের কজলিস্ট পাওয়া যায় না।
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী এসএমএস করলে মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে পারার কথা থাকলেও তাও সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ডিসপ্লে (মনিটর) লাগানো হয়েছে বিভিন্ন বেঞ্চের বিচারপতিদের নামের তালিকাসহ দৈনন্দিন মামলার হিসাব। যদিও এগুলোর উদ্বোধন করা হয়নি। আবার উদ্বোধনের আগেই মনিটরগুলো নষ্ট হওয়ার পথে। আর সময়মতো কজলিস্ট আপডেট এবং মামলার কার্যক্রমও আপডেট না করায় এসএমএস করে কোনো ফল পাচ্ছেন না আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫