ঢাকা: সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে অয়েল ট্যাংকার (তেলবাহী জাহাজ) ডুবির পর টনক নড়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের। এত দিন শুধুমাত্র নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের (শিপিং) এর ছাড়পত্র দিয়েই তেলবাহী জাহাজ চলাচল করতো।
রোববার ১৮ জানুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটি সদস্য নবী নেওয়াজ, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ইয়াসিন আলী, মেরিনা রহমান প্রমুখ।
বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এতো দিন অয়েল ট্যাংকারগুলো শুধুমাত্র নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে চলাচল করতো। যে কারণে পরিবশ অধিদপ্তরের কিছু করার থাকতো না। তাই কমিটির সুপারিশ করেছে এখন থেকে অয়েল ট্যাংকারগুলোকে পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের নজরদারিতে আনতে হবে।
তিনি বলেন, শ্যালানদীতে জাহাজডুবির পর সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গবেষণা করার কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল সুন্দরবন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই কেন সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল করলো বৈঠকে তা জানতে চায় সংসদীয় কমিটি। এজন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। যদিও বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে অনেকগুলো জাহাজ আটকে থাকায় এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শ্যালা নদীর পরিবেশ বিপর্যয়ের মত দুর্ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে দ্রুত উত্তরণের জন্য কোস্ট গার্ড এবং মংলা বন্দরকে প্রয়োজনীয় যন্ত্র সরঞ্জাম সরবরাহ করে সর্বদা প্রস্তুত রাখার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে একটি কার্যকর অভিযান পরিচালনা করারও সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫