আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): তিস্তা নদীর পানি অচিরেই ন্যায়ভিত্তিক সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবাদুল কাদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আথাউড়া স্থলবন্দরের নোম্যানসল্যান্ডে রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন রকম ছিল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনোভাবের পরির্বতন হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পর্কের বৈরি আবহাওয়া কেটে গেছে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরে আসবেন। আশা করি তিস্তা নদীর পানির বন্টনে উভয় দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য ও ন্যায় ভিত্তিক সমাধানে হবে।
ছিটমহল সমস্যার সমাধানের ব্যাপারেও দুই দেশের আলাপ আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী আরও জানান, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। নির্মাণ ব্যয় হবে প্রায় ১৬শ ৮ কোটি টাকা। ভারত সরকারের কাছ থেকে ১৫শ ৭৩ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যাবে।
আগামী ৩ বছরের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এতে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে। তাছাড়া অচিরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আরো একটি সীমান্ত হাট চালু করা হবে।
দুই দেশের যোগাযোগের জন্য ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ফেনী নদীর উপর নতুন একটি সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিরাজ করছে।
সকালে মন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সাতপাড়ায় আসেন। মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ স্মরণ।
পরে মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরের নোম্যানস ল্যান্ড পর্যন্ত সড়ক পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী নোম্যানস ল্যান্ডে পৌঁছালে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রবিউল মোক্তাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ড. মোশারফ, জেলা পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবীব, বিজিবি-১২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মেজর তছলিম উদ্দিন, আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫