ঢাকা: আর কয়টি দুর্ঘটনা ঘটলে, আর কতজনের মৃত্যু হলে কর্তৃপক্ষ আমাদের দিকে তাকাবে। আর কত কান্না শুনতে চায় প্রশাসন?
মানববন্ধনে এভাবেই কথা বলছিলেন কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপোর মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাকালীন সময়ে ব্যারিকেড (লেভেল ক্রসিং) দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধন থেকে সংগঠনটির নেতারা প্রশ্ন রাখেন, আর কত লোক মারা গেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হবে। আর কত মায়ের বুক খালি হলে প্রশাসনের টনক নড়বে।
বক্তারা বলেন, আইসিডি (অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো) সরকারের আয়ের অন্যতম একটি স্থান। এখান থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকা আয় হয়। তা দিয়ে সরকার অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখে। অথচ এখানে শত শত শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
তারা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ২৯ ডিসেম্বর ছয়জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি কাভার্ড ভ্যান ও ট্রেনের কিছু অংশ। এরপরও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে আবারও কোনো দুর্ঘটনা।
বক্তারা বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিকদের নিয়ে মানববন্ধনসহ সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক সংগঠনের সেক্রেটারি বাবুল খান তাপস, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, আবুল হোসেন টিটু প্রমুখ।
পরে ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার আহমেদুল করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জায়গায়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। এখানে আমরা কিছু করতে পারি না। তারপরও আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি শিগগিরই কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আশা করছি রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫