সাভার (ঢাকা): বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবকে (৪৫) আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, নুপুর গোস্বামী (২৮) নামে এক নারী ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাভারের একটি বাড়িতে রেখে দীর্ঘ একবছর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ তুলে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাফিজুরকে রাতে আটক করা হয়।
নুপুর ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের বেটোয়াইল গ্রামের মাধব চক্রবর্তীর মেয়ে।
মাধব চক্রবর্তী বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, নুপুর বিবাহিত ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে সংসারজীবন যাপনের এক পর্যায়ে হাফিজুর ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়ের স্বামীকে গ্রামছাড়া করেন এবং নুপুরকে সাভারের একটি বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একবছর তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অবশ্য, সাভার থানা হেফাজতে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর দাবি করেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিক তাকে ফাঁসানোর জন্য স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ব্যবহার করেছে এবং তাকে গ্রেফতার করিয়েছে।
এদিকে, হাফিজুরকে গ্রেফতারের পর নুপুর গোস্বামী বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, হাফিজুর ও তার লোকেরা আগামী বৃহস্পতিবারের (২২ জানুয়ারি) মধ্যে তাকে স্ত্রীর যথাযোগ্য মর্যাদায় ঘরে তুলে নেবে- এমন আশ্বাস দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫