ঢাকা: রান্নার মূল উপকরণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো জিরা। আর ইরানি জিরার সুনাম রয়েছে পুরো বিশ্বজুড়ে।
রান্নায় ইরানি জিরা পরিমাণে কম লাগে এবং বেশ সুঘ্রাণ রয়েছে বিধায় এর এতো সমাদর বলে জানান দোকানটির বিক্রেতা সোহেল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই জিরা মানের দিকে পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের জিরার চেয়ে ভালো। সাধারণত এই জিরার ক্রেতারা চাইলেই কিনতে পান না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাধ্যমে ইরান থেকে প্রচুর পরিমাণে মশলা সামগ্রী আসে। যার মধ্যে অন্যতম এক হলো জিরা। অন্যান্য যে কোনো পণের তুলনায় এই জিরার চাহিদা ক্রেতাদের মধ্যে বেশি বলেও জানান সোহেল।
ক্রেতা আনিস আলম বেশ মনোযোগ দিয়ে ঘ্রাণ নিচ্ছিলেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘ্রাণেই বোঝা যায় ইরানি জিরার মান কতো ভালো। এ জিরার আসলে তুলনাই হয় না।
টঙ্গী থেকে আসা হামিদা ইয়াসমিন একসঙ্গে এক কেজি ইরানি জিরা কিনেছেন।
তরকারির স্বাদ ইরানি জিরার মাধ্যমে কয়েকগুণ বেড়ে যায় বলেই লোভ সামলাতে না পেরে একসঙ্গে এতো জিরা কিনেছেন বলে জানান তিনি।
সোহেল জানান, ইরানি জিরা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দোকানে জিরা ছাড়ও কিসমিস, কাজু বাদাম, আলু বোখারা, কাঠ বাদাম বিক্রি হচ্ছে।
ইরানি আলু বোখারা ১০০ গ্রাম কিনতে ক্রেতাদের খরচ করতে হবে ১৫০ টাকা। কাজু বাদাম ও কাঠ বাদাম ১০০ গ্রাম ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত ১ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৫ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এ বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, জার্মানিসহ মোট ১৫টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৪৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫