ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দুই বছরের মধ্যে প্রতি বিভাগে সরাসরি সম্প্রচার কেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
দুই বছরের মধ্যে প্রতি বিভাগে সরাসরি সম্প্রচার কেন্দ্র তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

ঢাকা: দুই বছরের মধ্যে প্রতি বিভাগে সরাসরি সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
 
মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুস সালামের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।


 
‘টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা প্রশিক্ষণ (ডিপ্লোমা)’ কোর্স শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট।
 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের প্রতিটি এলাকার শিল্প সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য প্রতিটি বিভাগেই সরাসরি সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে। আগামী বাজেটের আগে ওই চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। একই সঙ্গে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ঢাকা ছাড়া সাতটি বিভাগে আলাদা আলাদা সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
 
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম দিনে দেড়ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এটা ৬ ঘণ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
 
বিভাগীয় সম্প্রচার কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যাতে প্রতিটি বিভাগের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে পারে এবং তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারে, সেজন্য এসব সম্প্রচার কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তাছাড়া এখান থেকে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিধিও অনেক বাড়বে। তারা এখন শুধু বিটিভি’র কথা ভাবছে। কিন্তু সাতটি সম্প্রচার কেন্দ্র চালু হলে অনেক দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবে। আর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট হবে আমাদের দক্ষ লোক তৈরির কারখানা।
 
তিনি বলেন, আমরা সব গণমাধ্যমের পুনঃজীবন চাই। ইতিমধ্যে টেলিভিশনের পুনঃজীবন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রযুক্তি সহায়তার পাশাপাশি আমরা আর্থিক সহায়তাও করবো।
 
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সবাই মানুষ। তাই মানুষ হিসেবে সবার একটা পরিচয় থাকতে হবে এবং নিত্য সৃজনশীল হতে হবে। আপনি কে তা সবার কাছে পরিস্কার হতে হবে। পরিচয় নিয়ে যদি আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন তবে তার প্রভাব আপনার প্রযোজিত ছবির উপর পড়বে। যেমন: আমি নিরপেক্ষ নই, আমার মধ্যে পক্ষপাত রয়েছে। আমি মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্যের পক্ষের এবং গণতন্ত্র ও মানুষের পক্ষের। তাই গণতন্ত্রে দৃষ্টিতে আমি নিরপেক্ষ নই।
 
হাসানুল হক ইনু বলেন, নিরপেক্ষতা ও ভারসাম্য রক্ষার নামে দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজকারকে এক পাল্লায় মাপার চেষ্ট চলছে। কিছু লোক একদিকে বলছে জঙ্গিবাদ বন্ধ করুন। আবার তারাই রাস্তায় মানববন্ধনে বলছে সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু কেউ বলছে না যে জঙ্গিবাদের উস্কানীদাতার কোনো অধিকার দিও না। আমরা জঙ্গিবাদের উস্কানিদাতাদের সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছি না মাত্র। কিন্তু আর কারো অধিকার ক্ষুন্ন করছি না। যদি তাই করতাম তবে মানববন্ধন করতে পারতো না তারা।
 
হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা বাসে বোমা মারে তাদের কোনো মৌলিক অধিকার নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে কারও সমালোচনা করা আর চরিত্র হরণ করা এক বিষয় নয়। এখন শুধুমাত্র খবর ও টকশো দিয়ে টেলিভিশন শিল্প চলবে না। কারণ গণমাধ্যম জঙ্গিবাদের উস্কানির প্রচার কেন্দ্র নয়। তাই প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনাদের ক্ষেত্র ঠিক করে নিতে হবে। আপনি শিশু, নারী, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, সংস্কৃতি না অন্য কিছু নিয়ে কাজ করবেন। সে অনুযায়ী সৃজনশীল অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমি পহেলা বৈশাখে ৭দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। বাংলাদেশ মেলার দেশ হবে।
 
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ও কোর্স পরিচালক ম. হামিদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময় : ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫/আপডেটেড : ১৪১৪ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।