জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ঘটনা মঙ্গলবার সকালের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের পাশে খেলছিলো এলাকার শিশুরা।
শব্দ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী ও এলাকাবাসী এসে ঘটনাস্থল থেকে আরও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সকালের দিকে এলাকার শিশুরা শহীদ রফিক-জব্বার হলের উত্তর পাশে ক্রিকেট বল কুড়াতে গিয়ে একটি ককটেল পায়। পরে সেটি নিয়ে খেলতে থাকলে এক পর্যায়ে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়।
এসময় শিশুরা ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী ও এলাকাবাসী এসে ঘটনাস্থল থেকে আরও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
এর আগে সোমবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী, ছাত্রলীগ ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পাশ্ববর্তী আমবাগান এলাকা থেকে ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করা হয়।
আটক ছাত্রদল নেতার নাম অসীম আহমেদ অনীক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ রফিক-জব্বার হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে একটি পরিত্যক্ত অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।
আটক ছাত্রদল নেতাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে আমরা আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫