ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মৃদু শৈত্য প্রবাহে নাকাল পঞ্চগড়বাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
মৃদু শৈত্য প্রবাহে নাকাল পঞ্চগড়বাসী

পঞ্চগড়: হিমালয় কন্যা বলে খ্যাত পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা মৃদু শৈত্য প্রবাহ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে শৈত্য প্রবাহের তীব্রতা।

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

সোমবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে হালকা সূর্যের মুখ দেখা গেলেও সন্ধ্যার পরপরই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো পঞ্চগড়। সন্ধ্যার পর থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সেড়ে তড়িঘড়ি করে ঘরে ফিরছে সাধারণ মানুষ। শৈত্য প্রবাহের তীব্রতায় রাত ৯টার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পুরো শহর।

এদিকে, শৈত্য প্রবাহের তীব্রতায় হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধ অ্যাজমা রোগীদের সংখ্যা।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস. আই এম রাজিউল করিম রাজু বাংলানিউজকে জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতজনিত রোগে শিশুদের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের অ্যাজমায় ভোগা বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে, এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগে কারো মৃত্যু হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পঞ্চগড় জেলার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) বিকাশ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শীতার্তদের মাঝে ইতোমধ্যে ১৫১১২টি কম্বল, ১২০০টি সোয়েটার, ৫০০ চাদর ও ৩০০ মাফলার শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও বে-সরকারিভাবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহম্মদ সালাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হিমালয় খুব কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। আমরা এবার যেসব শীতবস্ত্র পেয়েছি তা প্রত্যেক উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।