ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খালেদা খুনি, ৭১’র বদলা নিতে ‍চান

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
খালেদা খুনি, ৭১’র বদলা নিতে ‍চান

সংসদ ভবন থেকে: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খুনি আখ্যায়িত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খালেদা জিয়া খুনি। আন্দোলন নয়, ৭১’র  বদলা নিতে চান।

তিনি হুকুম দিয়ে অফিসে বসে আছেন। এমনকি স্বামীর জন্মবার্ষিকীতেও তার কবর জিয়ারত করতে যাননি।

মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে মাগরিবের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, তারা (বিএনপি) যেটা করছে, তা আন্দোলন নয়, সন্ত্রাস। খালেদা জিয়া সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি সূচক পাকিস্তানের উপরে। যখন বিস্ময়কর উন্নয়ন হচ্ছে বাংলাদেশে তখন তিনি দেশকে পাকিস্তান বানাতে চান।
 
তিনি বলেন, মানুষ রাজনীতি করে জনগণের জন্য। খালেদা জিয়া অফিসে বসে হুকুম দেন মানুষ খুন করার জন্য। তিনি (খালেদা জিয়া) ঘোষণা দিয়েছেন ততক্ষণ পর্যন্ত অফিস থেকে বের হবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারকে হটাতে না পারবেন।
 
অতীতে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরাও আন্দোলন করেছি। আন্দোলন আপনি দেখেননি, জানেন না। বঙ্গবন্ধু গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছিলেন ৭ মার্চ। ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন গরীব মানুষ যেন কষ্ট না পায়। হরতালেও রিকশা চলবে, রেলগাড়ি চলবে। আর এই মহিলা তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন নিজেকে, অথচ মানুষের অধিকার হরণ করেন।
 
বিএনপি’র আন্দোলন সফল হয়নি এ নিয়ে যুক্তি তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মধ্যেও তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি। কিন্তু লাখ লাখ মানুষের জমায়েত প্রমাণ করেছে তাদের আন্দোলন ব্যর্থ। আজ (মঙ্গলবার) আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী ৫০ হাজার দূরপাল্লার গাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় চলাচল করেছে। আন্দোলন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আন্দোলন সফল করতেও পারবেন না।

বিএনপি-জামায়াতে সঙ্গে সংলাপ নয়, দমন করা হবে:
 
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনের মূল এজেন্ডা নির্বাচন নয়। তারেক রহমান ও একাত্তরের ঘাতক দালালদের মুক্ত করা। বিএনপি জামায়াতের পেটে ঢুকে গেছে। বিএনপি এখন জামায়াতের কথায় ওঠে বসে। বিএনপি এখন রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
 
তিনি বলেন, আইএসআই ও লাদেনের প্রেতাত্মা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়, বরং তাদের নির্মূল করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
 
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী, তরকিত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।
 
তারা সবাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহতের জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫/আপডেট: ১৯৫৫

** পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ার আহবান রওশনের
** ‘ঘুষ দেন কেন’ পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রশ্ন
** ৬ মাসের মধ্যে সম্প্রচার আইন
** চামড়া শিল্পনগরীতে ১৪৪টি ইউনিটের নির্মাণ কাজ শুরু
** ২০২১ সালের মধ্যে সব নাগরিক বিদ্যুৎ পাবে
** অধিবেশন শুরু, চলছে মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।