ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অনেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সার্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান সংকট অভ্যন্তরীণভাবে সমাধানের বিষয়ে মত দিয়েছেন কূটনীতিকরা।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত কূটনৈতিকদের অবগত করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরই অংশ হিসাবে মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে প্রথমে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থাভুক্ত (আশিয়ান) দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দল নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করে, বোমা মারে বা গণবিরোধী কাজ করে তাদের আইন করে নিষিদ্ধ করা দরকার। আর অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনা করা উচিত তা ওআইসিভুক্ত দেশগুলো সবাই এক বাক্যে বলেছে। এ বিষয়ে মিশর, প্যালেস্টাইনসহ সবাই একমত।
‘এ ধরনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করলে তা সমর্থন করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও একই বাক্যে কথা বলেছেন। ’—বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি খুব পরিষ্কার। আর সহিংসতা কারা করে তা ইউরোপীয় সংসদও নাম ধরে বলে দিয়েছে। কাজেই সরকার কোনটিকে নিষিদ্ধ করতে বলেনি। কূটনৈতিকরা যা বলছে আমরা তাই বলছি।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপ বা অন্য কোনো পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, এ নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকেও কোনো প্রস্তাব আসেনি। আর চলমান রাজনৈতিক সংকট বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং তা সমাধানে বাংলাদেশকেই ব্যবস্থা করতে হবে বলে কেউ কেউ মত দিয়েছেন।
নির্বাচন বা পরবর্তীতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি। নাশকতা কখনই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে না। সবাই চলমান পরিস্থিতিতে নাশকতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সন্ত্রাসের কোনো অবস্থান নেই বলেও তারা জানান।
বৈঠকে বিজেপি প্রধান অমিত শাহের ফোনালাপ নিয়ে ভারত কিছু জানিয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে বাংলাদেশ বিষয়টি তুলে ধরেছে।
তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চেষ্ঠা চলছে। তারেক রহমানকে ফেরত দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫, আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা