সংসদ ভবন থেকে: সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ভীত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কোনো সমর্থন না পেয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আরও নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
বুধবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১৬) তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন-১ এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে নারী, শিশুসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করছে। সম্প্রতি একজন গর্ভবতী মহিলা তাদের নাশকতার শিকার হয়েছেন, তার শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে এবং গর্ভের শিশুটি মারা গেছে। তাদের এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালের পাক সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে।
‘এটা কোন রাজনীতি?’ প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এরকম কাজে যারা লিপ্ত তারা কী মানুষ? জনগণের জানমাল রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব সরকারের। এজন্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী নিয়োগ করে সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনের চেষ্টা চলছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীদের যেখানে পাবেন ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন। আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নাশকতার পূর্ব তথ্য সরবরাহ করে জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করুন। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বদা তৎপর রয়েছে।
মীর মোস্তাক আহমেদ রবির তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ৭ এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩ সালে সহিংস তাণ্ডব চালিয়ে নৃশংসভাবে বহু মানুষ হত্যা করেছে, পুলিশ মেরেছে এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সে সময় সাতক্ষীরা জেলাতেও জামাত-শিবির ও বিএনপির তাণ্ডবে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৬জন নিহত হয়েছে এবং ৫৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের ও আহতদের মধ্যে ৮৩জনকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
** অধিবেশন শুরু, চলছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর