ঢাকা, শনিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কোনাবাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আরো সময় লাগবে

ইসমাইল হোসেন ও এ কে এম রিপন আনসারী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
কোনাবাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আরো সময় লাগবে ছবি : জি এম মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কোনাবাড়ি থেকে: গাজীপুরের কোনাবাড়ির কাদের সিনথেটিক ফাইবাস লিমিটেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।

ফায়ার সাভিসের ১৬টি ইউনিট প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।



শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় কোনাবাড়ি বিসিকের কাদের সিনথেটিক ফাইবাস লিমিটেডে আগুন লাগে। বেলা পৌনে ২টার দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

বাংলাদেশ ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর সাকিল নেওয়াজ বেলা ১১টা ১৫মিনিটে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন ফায়ার সভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করতে ছিল। মেজল সাকিল পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরো ৪টি ইউনিট ডেকে নিয়ে আসেন।

জানা গেছে, কাদের সিনথেটিক ফাইবাস লিমিটেডের দুটি ইউনিট রয়েছে। স্পিনিং ইউনিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

বেলা ১২টার দিকে কাদের সিনথেটিক  ফাইবাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (ইনচাজ) মো. মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কিভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে স্পিনিং ইউনিটের তৃতীয় তলার ফল সিলিং এর ওপর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে  ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ওই সময় উপস্থিত একজন নারী শ্রমিক সাংবাদিকদের বলেন, তৃতীয় তলার মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাকমীরা নারী শ্রমিককে সাংবাদিকদের সামনে থেকে ভেতরে নিয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, আগুন নিযন্ত্রণ করতে গিয়ে  কাদের সিনথেটিক  ফাইবাস লিমিটেডের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক (৪০) ও নিরাপত্তা কর্মী আবুল কাউছার (৩২) আহত হন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।  

ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, প্রতিষ্ঠানের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা তেমন শক্তিশালী নয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের কাজ যথাযথভাবে শুরু করা হয়নি।

এ দিকে আগুন লাগার পর প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শ্রমিকেরা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে পড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন জ্বলার সময় স্পিনিং সেকশন ভবনের দ্বিতীয় তলার দেয়াল ফেটে যায়। এতে দেয়ালের কিছু ‍অংশ টুকরো রাস্তায় পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগুন ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্লাস্টিকের শত শত বস্তা ফেলে রাখা। মালামাল এলোপাতারিভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার কারণে  আগুন সহেজেই ছড়িয়ে পড়ে।

গাজীপুর ফায়ার সাভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন বাংলানিউজকে বলেছেন, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৭টার দিকে আগুন লাগার পর দুপুর পৌনে ২টার দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

এরপর সোয়া তিনটার দিকে তিনি বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগুনের বিস্তৃতি অনেক বেশি হওয়ায় এবং তুলা ও সুতায় আগুন লাগায় নেভাতে সময় লাগছে। এখন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো সময় লাগবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪,২০১৫

** কোনাবাড়ীতে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।