ঢাকা: যানবাহনে পেট্রোল বোমা বা ককটেল হামলাকারীদের ওপর তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নিতে চালকদের আত্মরক্ষার্থে লাইসেন্স করা অস্ত্র দিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন হরতাল-অবরোধে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, নাশকতাকারীদের ওপর পুলিশ ও ৠাব গুলি করতে ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি লাগে। কিন্তু চালকদের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিলে আর ম্যাজিষ্ট্রেট লাগবে না। তারা তাদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে পারবেন।
বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের দেখতে এসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভূক্তভোগীদের যারা গতকাল বা তার আগে ভর্তি হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন। আর যারা দগ্ধ হয়ে সদ্য ভর্তি হয়েছেন তাদের ৫ হাজার টাকা করে ক্যাশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ফোনে ও লিখিত ভাবে ইন্সট্রাকশন (নির্দেশনা) দেওয়া হয়েছে নাশকতায় যারা আহত হবে তাদের পরিবারকে অনুদান প্রদান ও তত্ব-তালাশ করতে।
নাশকতায় দগ্ধদের দেখে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কি বলবো, আমার বলার ভাষা নেই। এটি একটি হিউম্যান ট্রাজেডি। যারা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা মানুষ না। তারা যদি মানুষ হতো এমন কাণ্ড ঘটাতো না।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম দগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, বার্ণ ইউনিটে যেন বেশি সংখ্যক দর্শক বা ভিআইপিরা এসে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন না ঘটান।
এই ব্যাপারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভিআইপি হিসেবে আসিনি। মানবিক কারণে এসেছি। বিবেকের তাড়ানায় এসেছি। এখানে না আসলে অনুভব করা যায় না। প্রয়োজন হলে আমাকে আবারো আসতে হতে পারে।
নাশতাকারীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। গাড়ি চালকদের লাইসেন্স করা অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি জাতীয় সংসদে তুলবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমান প্রজন্মদের এই নাশকতা দেখার জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৪/আপডেট ১৮৩০ ঘণ্টা