ঢাকা: আমাদের মাতৃভূমিতে গীতিকার গোবিন্দ হালদারের জন্ম না হলেও স্বাধীনতা সংগ্রামে গান লিখে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা আজীবন স্মরণ রাখবে বাঙালি।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের অমর গীতিকার গোবিন্দ হালদার স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস একথা বলেন।
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে জাতীয় গীতিকার কবি পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি এম আর মনজু।
রনজিৎ কুমার বলেন, অনেকেই গোবিন্দ হালদারের গান নিজের গান বলে দাবি করেন। এটা খুবই দুঃখজনক। এই অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মদের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধে তার যে অতুলনীয় ভূমিকা রয়েছে তা তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গোবিন্দ হালদারের পুরো ভালোবাসা যেন বাংলার প্রতি ছিলো। সাধারণ মানুষের জন্য তার হৃদয় সব সময় কাঁদতো। একটি গান যে একটি চেতনার জন্য যথেষ্ট তা পরিষ্কারভাবে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাদের যে চেতনার জায়গা ধরিয়ে দিতে চেয়েছেন সেখান থেকে যেন আমরা সরে না আসি, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
বক্তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি যেসব বন্ধু সহযোগিতা করেছিলেন তাঁদের সবাইকে স্মরণের পাশাপাশি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আলোচনায় অংশ নেন কবি ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কাজী রোজী, কবি আসাদ চৌধুরী, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, কবি আসলান সানী, বুলবুল মহলানবীশ, সালেম সুলেরী প্রমুখ। সঞ্চলনায় ছিলেন পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব তরুণ রাসেল।
সবশেষে গীতিকার গোবিন্দ হালদারের ওপর প্রামাণ্য চিত্র পরিবেশন করা হয়। গান ও কবিতা পরিবেশন করেন কবি আয়াত আলী পাটোয়ারী, হানিফ, শিল্পী রাজিয়া মুন্নি, সাবিনা লাকী।
১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় উজ্জীবিত করা কালজয়ী গানের গীতিকার গোবিন্দ হালদার মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫