ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চা আইন ও চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
চা আইন ও চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন অনুমোদন

ঢাকা: শাস্তি বাড়িয়ে ‘চা আইন, ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন, ২০১৫’র খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।



সোমবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন দু’টির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে শাস্তির বিধান বিস্তৃতভাবে বলা ছিল না, শাস্তির পরিমাণও কম ছিল। এটি যুগোপযোগী করা হয়েছে, শাস্তির বিধান নুন্যতম ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

জরিমানার বিধান আগেও ছিল, এখানেও রয়েছে। কী পরিমাণ জরিমানা হবে তা অন্যান্য আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভেটিংয়ের সময় চূড়ান্ত করা হবে।

সামরিক শাসনামলের ‘টি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭’ এবং ‘টি অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬’ অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার জন্যই আইন করার উদ্যোগ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চা আবাদের জন্য এক লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে এবং ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। চা শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এ আইন। এগুলোকে প্রমোট ও রেগুলেট করার জন্য সরকার চা বোর্ড করেছে, চা বোর্ড কিভাবে কাজ করবে তা এ আইনে বলা হয়েছে।
নতুন আইনে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি, হালনাগাদ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনে চা বোর্ডে একজন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন, চট্রগ্রাম বিভাগের কমিশনার এর সদস্য রয়েছেন, সিলেট বিভাগের কমিশনারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বোর্ডের কাযাবলির মধ্যে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এবং চায়ের গুনগত মান নির্ধারণে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
 
আগের আইনে চা নিলামের কথা বলা ছিল, নতুন আইনে চা বিক্রয় বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে একটি উপদেষ্টা পরিষদ ছিল তা বিলুপ্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সামরিক শাসনামলের ‘বাংলাদেশ চা শ্রমকি কল্যাণ ফান্ড অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬’ অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন, ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

তবে আগের আইন থেকে নতুন আইন করার সময় এখানে তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয়নি বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।