ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তারা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনায় বিশ্বাসী।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেমিনার কক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় ও মৃত্যুঞ্জয়ী স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মানবিক মর্যাদা, সাম্য, সুশাসন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তি। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সমুদ্রের মতো বিশাল মনের অধিকারী।
একটি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ করতে মাত্র ২৩ বছর সময় লেগেছিলো তার। তাই বলা যায়, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বলিষ্ঠ নেতা।
মোজাম্মেল হক বলেন, সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ৩ ধারায় গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছিলো। অন্যথায় দেশে অন্য শাসন ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়ে যেত। দেশব্যাপী চলতো অরাজকতা।
বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রেখেছেন এবং রাখবেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে যে পরিমাণে রাজাকার ছিলো, এখনকার সময়ের রাজাকারের সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। কারণ, রাজাকারের প্রজন্ম টিকে আছে, আর এরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের কারণে দেশে আইএসসহ জঙ্গি সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে জঙ্গিরাই পেট্রোল বোমা মারছে, ককটেল হামলা চালাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, আমরা সুশাসন চাই, শান্তি চাই। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমাদের চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের কিছু অপশক্তি আমাদের এগিয়ে যাওয়াকে ঠেকাতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা এসব অপচেষ্টা প্রতিহত করবো।
মতবিনিময় ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী ও ইসমত কাদির গামা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫