ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়াতে নির্দেশ মন্ত্রিসভার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়াতে নির্দেশ মন্ত্রিসভার ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: পাঁচ বছরে দারিদ্র, অতিদারিদ্র, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমার বিপরীতে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাও বেড়েছে।



অর্থ বিভাগ দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির তুলনামূলক চালচিত্র সম্পর্কে তথ্য দিয়ে, মন্ত্রিসভাকে এ বিষয়ে অবহিত করে রাজস্ব আয় ও এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বাস্তবায়ন হার বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনের বিষয়ে অবহিত হয়ে মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে, উৎপাদশীলতা ও দক্ষতা বাড়িয়ে এটা করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়াতে বলেছে মন্ত্রিসভা। সেজন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন দক্ষতা বাড়ানো দরকার। এর বাস্তবায়ন হার ভালো। চলতি অর্থবছরে (গত ডিসেম্বর পর্যন্ত) বাস্তবায়ন হার ২৮ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ২৭ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়াতে মন্ত্রী-সচিবদের একসঙ্গে বসে আলোচনা ও পর্যালোচনার অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা, জনবল বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এটা করতে হবে। পাশাপাশি কর বহির্ভূত আয় বাড়াতে হবে। সরকার এর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী এক থেকে দু’সপ্তাহের মধ্যে অর্থ বিভাগ অর্থনৈতিক চালচিত্রের এ প্রতিবেদনটি আরো সমৃদ্ধ করে প্রকাশ করবে।

প্রতিবেদনে ২০০১-২০০২ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর পর্যন্ত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ২০০১-২০০২ অর্থবছর থেকে ২০০৫-২০০৬ পর্যন্ত ৫ বছরে গড় তথ্য, পাশাপাশি ২০০৯-২০১০ থেকে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

গত বছরে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশের সামষ্টির অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় ছিল। এ সময়ে গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৬ দশমিক ১৪ হারে। সরকারি বিনিয়োগ আগের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে তিনগুণ, মাথাপিছু আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

এছাড়া রাজস্ব জিডিপির অনুপাত, এডিপি বাস্তবায়ন হার, বাজেটের আকার, চাল উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। দারিদ্র, অতিদারিদ্র, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে।

সরকারের আর্থিক ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল ও জনকল্যাণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।