ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আনন্দ শিপইয়ার্ডের ঋণ জালিয়াতি

ওয়ান ব্যাংকের ডিএমডিসহ ১১ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
ওয়ান ব্যাংকের ডিএমডিসহ ১১ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব জোহরা বিবি ও রোজিনা আলিয়া আহমেদ

ঢাকা: আনন্দ শিপইয়ার্ডের প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বেসরকারি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ডিএমডি) ১১ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

সোমবার (২৬ জানুয়ারি’২০১৫) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।



দুদকের উপপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে তাদের আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।

এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ১১৪ কোটি ২১ লাখ টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আনন্দ শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে এ টাকা ঋণের নামে দেওয়া হয়েছে।

এমন অভিযোগে অনুসন্ধানের প্রয়োজনে ২ ফেরুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ জন্য যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের ডিএমডি জোহরা বিবি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডিন্ট ও হেড অব মার্কেটিং(বর্তমানে অতিরিক্ত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক) রোজিনা আলিয়া আহমেদ,  ভাইস প্রেসিডেন্ট(মার্কেটিং বিভাগ) মো আবু সালেহ, এসইভিপি মো. আফতাব উদ্দিন খান ও প্রিন্সিপাল অফিসার জামিল হোসেন।

৩ ফেব্রুয়ারি যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তারা হলেন- ব্যাংকের মতিঝিল শাখার ইনচার্জ মুজতাবা এম. কাজমী, প্রিন্সিপাল অফিসার খালেদ আল ফেসানী, কর্পোরেট হেড কোয়ার্টারসের এসভিপি ইঞ্জিনিয়ার আসিফ মাহমুদ খান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব হাসান, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আনিসুজ্জামান ও অফিসার (মার্কেটিং বিভাগ) আবু শাহাদাত মো. সাহেদ।

দুদক সূত্র জানায়, জাহাজ রফতানির নামে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আনন্দ শিপইয়ার্ড দেশের ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জাহাজ নির্মাণের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া এ সব ঋণ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে এসব জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসে।

সূত্র আরও জানায়, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (কারওয়ানবাজার শাখা), এবি ব্যাংক লিমিটেড (কারওয়ানবাজার শাখা), মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট শাখা), ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড (মতিঝিল শাখা), জনতা ব্যাংক লিমিটেড (লোকাল অফিস), এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (প্রধান শাখা) প্রধানদের কাছ থেকে আনন্দ শিপইয়ার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।