ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা জেলায় কৃষির অস্তিত্ব নিয়ে মন্ত্রীর সংশয়

বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
ঢাকা জেলায় কৃষির অস্তিত্ব নিয়ে মন্ত্রীর সংশয়

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ঢাকা জেলায় কৃষির অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, দিন দিন যেভাবে কৃষি জমি কমছে তাতে ভবিষতে ঢাকা জেলাতে এটি আর থাকবে কি না সেটাই গবেষণার বিষয়।


 
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
 
মন্ত্রী বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার বিএডিসিকে অনেকটাই শক্তিশালী করেছে, প্রয়োজনীয় লোকবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার কৃষকদের প্রয়োজনে সবকিছুই করছে এবং করবে।
 
কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, রাজধানী ঢাকায় এখন তেমন আর কৃষি জমি নেই। তাই ঢাকার বাইরে নিত্যনতুন কৃষি খামার করা হচ্ছে। ঢাকা জেলার মিরপুর থানায় ১০০ একর আয়তনের একটি বীজ বর্ধন খামার রয়েছে। উক্ত খামারে উৎপাদিত বীজ নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া পাশ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার মতবল উত্তর উপজেলার চরমহিষমারী চরওয়েস্টার, চরকাশিম, বোরোচর ও চরএলেনসহ বিভিন্ন চরসমূহের সরকারি খাসজমিতে বিএডিসি’র বীজ বর্ধন খামার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
 
সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষকের চাহিদাপূরণ ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণার্থে বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বাফার গুদাম ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন মোকামের মাধ্যমে সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চলমান এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে সময়মত সার সরবরাহ করা হচ্ছে। চলমান সার বিতরণ ব্যবস্থায় কোথাও কোন অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে না বিধায় উপজেলা/থানা পর্যায়ে সরকারিভাবে সার মজুদ রাখার কোন পরিকল্পনা নেই।
 
মামুনুর রশিদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি তথা মাটির সুস্বাস্থ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকরণে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নিয়মিত কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় হাতে-কলমে জৈব সার প্রস্তুত প্রণালী প্রদর্শনসহ কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
 
আমি সাংবাদিকের ঘরনী:
অধিবেশনে বক্তব দেওয়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা কখন কার চোখ রাঙানির ভয়ে নিউজ দেন আর কখন দেন এটা আমার ভালো জানা আছে। আমি নিজে ২ বছর সাংবাদিকতা করেছি। আমি সাংবাদিকের ঘরনী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

** রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের তালিকা হচ্ছে
** পূর্বের অনিয়মের দায় নিলেন না মন্ত্রী
** শ্যালা নদী স্বাভাবিক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।