ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৩৬ মিনিটে উত্তরা-মতিঝিল

বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
৩৬ মিনিটে উত্তরা-মতিঝিল

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাজধানীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে এগিয়ে সংসদে মেট্রোরেল বিল-২০১৫ পাস করা হয়েছে।

এ আইন পাসের মাধ্যমে রাজধানীতে বহুল প্রত্যাশিত ও স্বপ্নের মেট্রোরেল চালুর কাজে আরও এক ধাপ অগ্রগতি হলো। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বিগত সরকার স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত ও উন্নত গণপরিবহন সেবা চালুর লক্ষ্যে বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
 
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলের ওপর বিরোধী দলীয় সদস্য এম এ হান্নান এবং স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও হাজী মো. সেলিম জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
 
বিলটি পাসের আগে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উত্তরা থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাতায়াতে সময় লাগবে মাত্র ৩৬ মিনিট। উত্তরা-পল্লবী-মিরপুর-আগারগাঁও-ফার্মগেট-শাহবাগ-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড হয়ে মতিঝিল যাবে মেট্রোরেল। এর মধ্যে ১৬টি স্টেশন থাকবে। এক ট্রেনে ১৮০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এতে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে বলেও জানান মন্ত্রী।  
 
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসন এবং জনসাধারণকে দ্রুত ও উন্নত গণপরিবহন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ প্রথম মেট্রোরেল চালু হবে। তাই মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজন। সেজন্য এই বিলটি আনা হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।

২০১৯ সাল থেকেই রাজধানীবাসী মেট্রোরেল পরিবহনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলেও জানান মন্ত্রী।
 
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
 
সংসদে উত্থাপিত বিলে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল পরিচালনা ও অনুমোদন ছাড়া মালিকানা হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই রেল স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ রাখা হয়েছে। মেট্রোরেলে চলাচলকারী সবার বীমা থাকবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
 
বিলে এই রেল চলাচলে বাধা সৃষ্টি, বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির মধ্যে রয়েছে ১০ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা। বিলে মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য বীমার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিধান অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
 
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন:
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন-২০১৫ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের জনস্বার্থ সংস্থাসমূহের, বিশেষ করে কর্পোরেট সেক্টর, পাবলিক সেক্টর কর্পোরেশন, সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, ব্যাংক, আর্থিক ও বীমা প্রতিষ্ঠান এবং এ জাতীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহের আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়ন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা কাজে সংশ্লিষ্টদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ রেগুলেটারি সংস্থা গঠনের জন্য এই বিলটি আনা হয়েছে। এই সংস্থাটি গঠিত হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে বলে বিলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

** ঢাকা জেলায় কৃষির অস্তিত্ব নিয়ে মন্ত্রীর সংশয়
** রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের তালিকা হচ্ছে
** পূর্বের অনিয়মের দায় নিলেন না মন্ত্রী
** শ্যালা নদী স্বাভাবিক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।