ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কোকোর মরদেহ পৌঁছাবে মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
কোকোর মরদেহ পৌঁছাবে মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গুলশান থেকে: রাজধানী গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, চেয়ারপার্সনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা এসে পৌঁছাবে।

তিনি বলেন, কোকোর মরদেহ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (এমএইচ১০২) করে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।



সোমবার (২৬ জানুযারি) রাত সাড়ে আটটায় রাজধানীর বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মরদেহ গ্রহণ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল (স্থায়ী কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যান পদভুক্তরা) কোকোর মরদেহ গ্রহণ করবেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে কোকোর মরদেহ বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে, যাতে করে তার মা  (খালেদা জিয়া) ও আত্মীয়-স্বজনরা দেখতে পারেন।

তিনি এটাও বলেন, তবে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখানে আসতে পারবেন না। শুধুমাত্র পারিবারিক সদস্যরাই এখানে কোকোর মরদেহ দেখতে পারবেন।

জানাজা সম্পর্কে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিকেল চারটার মধ্যে কোকোর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বাদ আসর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

পরে কিছুক্ষণ সর্ব সাধারণের দেখার জন্য কোকোর মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে রাখা হবে। শেষে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফনের কথা রয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে ওখানে দাফন তার (কোকো) প্রাপ্য। আমরা লিখিতভাবে সেখানে দাফনের অনুমতি চেয়েছি। আশা করি, কোকোর মরদেহ আমরা সেখানে দাফন করতে পারবো।

এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এই নেতা জানান, বনানীর সামরিক কবরস্থানে কোকোর মরদেহ দাফন করা যাবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের সংশয় রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ন্যায্য কাজ হচ্ছে না।

কোকোর আকস্মিক মৃত্যুতে দেশি-বিদেশি যারা সমবেদনা জানিয়েছেন, এ সময় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, উপদেষ্টা জয়নুল আবদিনসহ আরো অনেকে।

২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়া অবস্থানকালে আরাফাত রহমান কোকো আকস্মিকভাবে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।

কোকোর মরদেহ সেখানকার একটি হিমঘরে রাখা হয়েছে।

এদিকে, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে বিএনপি তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার নামাজে জানাজা শেষে কোকোর মরদেহ রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।