ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলার বিবাদী পক্ষ জামিন পেয়েই বাদী পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এতে বাদীপক্ষের ৩ জন আহত হলে আদালত বিবাদীপক্ষের ১১ জনের মধ্যে ৮ জনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন এ আদেশ দেন।
সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রোলদিয়ারা গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে ইসমাতুন নাহারের সঙ্গে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর একই উপজেলার গরুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে শাহেরুল ইসলামের বিয়ে হয়।
এ সময় উপহার হিসেবে পাত্রপক্ষকে নগদ দুই লাখ টাকা ও সংসারের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই পাত্রপক্ষ যৌতুক হিসেবে আরও দুই লাখ টাকার জন্য পাত্রীপক্ষের কাছে দাবি করতে থাকে।
টাকা না পাওয়ায় ইসমাতুন নাহরের ওপর নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোস মিমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও তা ব্যর্থ হয়।
টাকা ছাড়া ইসমাতুন নাহারকে তার স্বামীর বাড়িতে তুলে নিয়ে অস্বীকৃতি জানালে উপায়ন্তর না পেয়ে ইসমাতুন নাহার বাদী হয়ে তার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দেবর, ননদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বিবাদীপক্ষ সোমবার দুপুরে আদালত থেকে জামিন পায়। জামিন পেয়েই তারা আদালত চত্বরে মামলার বাদী ইসমাতুন নাহার, তার ভাই মোসলেম উদ্দিন ও মমিনুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
এতে তারা গুরুতর আহত হলে বিষয়টি আদালতের বিচারককে জানানো হয়। এরপর বিচারক বিবাদীপক্ষের ১১ জনের মধ্যে ৮ জনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫