ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বইমেলার সময় হরতাল-অবরোধ স্থগিত রাখার আহবান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
বইমেলার সময় হরতাল-অবরোধ স্থগিত রাখার আহবান ছবি: রাশেদ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য অমর একুশে বইমেলার সময় হরতাল-অবরোধ স্থগিত করার জন্য বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

সংগঠনটির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, বইমেলা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়।

এটি বাঙালি জাতির মিলনমেলা, বড় উৎসব। তাই মাসব্যাপী এ আয়োজন চলাকালে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি স্থগিত করা উচিত।

মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্প্রসারিত মিলনায়তনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি এমন আহবান জানান।

ওসমান গনি বলেন, বইমেলায় বিভিন্ন মতের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আমরা আশা করি, এ সময় কোনো হরতাল-অবরোধ হবে না। মেলা ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমরা ৫ বছর পিছিয়ে যাবো।

লিখিত বক্তব্যে ওসমান গনি আরো বলেন, অমর একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা ধারণ করে পুরো মাস জুড়ে আয়োজিত গ্রন্থমেলা বাঙালি জাতির একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। গত বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা বলতে পারি, গ্রন্থমেলার সার্বিক আয়োজনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জায়গায় বিস্তৃত হলে লেখক-পাঠক–প্রকাশকসহ সবাই এর সুফল ভোগ করবেন। গ্রন্থমেলার ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের সুবিধার্থে কোনোভাবেই দুই চত্ত্বরে স্টল বরাদ্দ যুক্তিসঙ্গত হবে না।

তিনি বলেন, গ্রন্থমেলায় কোনোক্রমেই পাইরেসি বই বিক্রি করতে দেওয়া চলবে না। তাই মেলা চত্ত্বরের পাশাপাশি দোয়েল চত্ত্বর থেকে টিএসসি পযর্ন্ত সড়কে পাইরেসি ও নোট বইয়ের অবাধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। গ্রন্থমেলার নান্দনিক পরিবেশ ধরে রাখার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূল সড়ক থেকে মেলার গেট পযর্ন্ত বারোয়ারি মেলা বন্ধ করতে হবে।

গ্রন্থমেলায় পাঠকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং অহেতুক বিড়ম্বনা পরিহার করার জন্য কমপক্ষে ৩টি গেট থাকা প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিএসসি এবং বাংলা একাডেমির উল্টোদিকে— এ তিনটি পয়েন্ট দিয়ে মানুষ যাতে অবাধে মেলায় প্রবেশ এবং বের হতে পারে তার জন্য অন্তত তিনটি গেট তৈরির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।

ওসমান গনি আরো বলেন, তথ্যকেন্দ্র অবশ্যই গ্রন্থমেলা চত্ত্বরে স্থাপন করা উচিত। শুধু বাংলা একাডেমি চত্ত্বরে তথ্যকেন্দ্র স্থাপনের ফলে অধিকাংশ পাঠক মেলার নতুন বইসহ অনুষ্ঠান সর্ম্পকিত অন্যান্য তথ্য বিভিন্ন জরুরি ঘোষণা সর্ম্পকে জানতে ব্যর্থ হন।

পুরো গ্রন্থমেলা চত্ত্বরটিকে ওয়াইফাই জোনের অন্তভুর্ক্ত করার আহবানও জানান ওসমান গনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পাশা, বইমেলা পরিচালক  আফজাল হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।