ঢাকা: রামপুরা থানার দুই ওসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, চুরি ও কর্তব্যে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার আদালতে দায়ের করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে আমেরিকা প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী শামীমুন নাহার লিপি ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
শুনানি শেষে বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ ইউনুস খান বাদিনীর অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে ডিবির উপ-কমিশনারকে(ডিসিডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) মাহবুবুর তরফদার রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আলমগীর ভূঁইয়া, এসআই বাবুল, বাদিনীর ভাই আরিফুর রশিদ, ভাইয়ের স্ত্রী দুরদানা রশিদ, ভাইয়ের ছেলে শাহরিয়ার রশিদ, আরিফুর রশিদের বন্ধু হুমায়ুন ওরফে ল্যাংড়া হুমায়ুন, তাজুল ইসলাম, কবির হোসেন কাজল ও মো. মাসুদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আমেরিকা প্রবাসী বাদিনীর রামপুরা থানার খিলগাঁও তালতলায় প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একটি ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন প্রপার্টি রয়েছে। বাদিনী যাতে প্রপার্টি ভোগদখল না করতে পারেন সেজন্য বাদিনীর ভাই আরিফুর রশিদ, ভাইয়ের স্ত্রী দুরদানা রশিদ, ভাইয়ের ছেলে শাহরিয়ার রশিদ গত ২৪ আগস্ট তার ফ্ল্যাটের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেন। যাতে বাদিনীর ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৮শ’ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় বাদিনী রামপুরা থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পায়। কিন্তু ওসি (প্রশাসন) ও ওসি (তদন্ত) এ ঘটনায় কোনো মামলা কিংবা জিডি নিতে অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে বাদিনী জানতে পারেন, গত ১ জানুয়ারি মামলার ৪ থেকে ১০ নম্বর আসামি বাসার তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে আসবাবপত্র সরিয়ে নেন। এ ঘটনায় বাদিনী ফের থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। বাদিনী অভিযোগ করেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসি মাহবুব বাদিনীর কাছে ব্যবস্থা নিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫