ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু

ঢাকা: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হলো মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি)। আইন অনুযায়ী আগামী ১৮০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্বাচনটি সম্পন্ন করতে হবে।


 
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ অনুসারে ৩৪ এর উপধারা ১(খ) অনুযায়ী, নির্বাচিত সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একটি নির্বাচিত সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর।
 
চসিকের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১০ সালের ১৭ জুন। আর নির্বাচিত সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিলো একই বছরের ২৬ জুলাই। সে অনুযায়ী, এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই। তাই ২৭ জানুয়ারি থেকে (মঙ্গলবার) আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
 
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেছেন, চসিক নির্বাচন জুলাইয়ের আগেই সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে এ নির্বাচন করবো। কেননা, বেশি আগে নির্বাচন হলে শপথ পড়ানো নিয়ে ঝামেলা হয়। শপথ পড়ালেই নবনির্বাচিতরা দায়িত্ব নিতে চান। আবার আগের মেয়রের মেয়াদও শেষ হয় না। ফলে একই সিটিতে দু’জন নির্বাচিত মেয়র হয়ে যান। তাই এসব বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সময় নির্বাচন করা হবে, যেন কেউ কোনো প্রশ্ন না তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে যদি রোজা শুরু হয়,  তবে জুনের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন করা হবে।
 
এদিকে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক এ বছর কোন কোন সময় নির্বাচন করা যাবে না সে বিষয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন। তিনি ইউও নোটের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে সে তালিকায় উল্লেখিত সময়ে নির্বাচন না করারও অনুরোধ করেছেন। সে তালিকা অনুযায়ী আগামী ১৯ জুন (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) থেকে রোজা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে ঈদের জন্য ১৭ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকবে। আবার ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, রোজা ও ঈদের কারণে ১৮ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। আবার এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা থাকবে। অন্যদিকে নির্বাচনের জন্য ৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তাই মে থেকে জুনের প্রথমার্ধেই চসিক নির্বাচনের জন্য ভালো সময়।
 
২০১০ সালে চসিক নির্বাচনেই দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। সে সময় একটি ওয়ার্ডে ১৩০টি ইভিএম মেশিন ব্যবহার করে বেশ সাফল্য পেয়েছিলো এটিএম শামসুল হুদার বিগত নির্বাচন কমিশন। তবে এবার আর এ সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের কোনো কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৪ সিটি নির্বাচনের সময় রাজশাহী ও গাজীপুর সিটিতে এবং নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনের সময় ইভিএমে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছিলো। যে ত্রুটির সমাধান এখনো করা যায়নি। তাই সমস্যার সমাধান না পর্যন্ত আর কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে না ইসি।
 
সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে চসিক নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতের জন্য কাজ শুরু করেছে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।