ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বনানী কবরস্থানে সমাহিত কোকো

আদনান রহমান ও এ জেড খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
বনানী কবরস্থানে সমাহিত কোকো ছবি: রাজিব/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বনানী কবরস্থান থেকে: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোকে বনানী কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানের বি ব্লকের ১৮ নং সারিতে অবস্থিত ১,৮৩৮/১৪৭ নং কবরে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

‍দাফনের পর কোকোর আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

এসময় কোকোর স্বজন এবং বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।   বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

গত শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কোকোর মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোকোর মরদেহ বুঝে নেন তার চাচাতো ভাই মাহবুব আল আমিন ডিউ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়া মনোনীত বিএনপির পাঁচ নেতা। এরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে কোকোর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দর থেকে মা খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদার কার্যালয়ে পৌঁছায়। সেখানে কার্যালয়ের নিচতলার কনফারেন্স রুমে রাখা হয় মরদেহ। এ সময় মা খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে কোকোর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নামাজে জানাজার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। খালেদা জিয়া দরোজায় দাঁড়িয়ে ছেলের কফিন অ্যাম্বুলেন্সে তোলা দেখেন। এসময় তার চোখ দিয়ে অঝোরধারায় অশ্রু গড়াতে দেখা যায়।

বাদ আসর বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে বায়তুল মোকাররমে কোকোর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর কোকোর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে কোকোকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানের ফটকে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পরই কোকোর দাফনের কার্যক্রম শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫/আপডেট ১৯৩০ ঘণ্টা

** কোকোর মরদেহ বনানী কবরস্থানে
** বনানী কবরস্থানের পথে কোকোর মরদেহ
** বনানী কবরস্থানে প্রস্তুত কোকোর কবর
** বনানী কবরস্থানে খোঁড়া হচ্ছে কোকোর কবর
** বনানী সামরিকে অনুমতি মেলেনি, সাধারণ কবরস্থানে দাফন কোকোর
** ‘এ মৃত্যু নিয়ে আর রাজনীতি নয়’
** কোকোর জানাজা শুরু
** কোকোর মরদেহ বায়তুল মোকাররমে
** বায়তুল মোকাররমের পথে কোকোর মরদেহ
** জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা, বায়তুল মোকারমে কড়া নিরাপত্তা
** মায়ের কাছে কোকোর মরদেহ

** সারাদেশে কোকোর গায়েবানা জানাজা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।