ঢাকা: রাস্তায় কফিন, পেট্রোলবোমায় দগ্ধ মানুষ, পোড়া গাড়ি। সবাই কথা বলছে এরা।
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সকালটা শুরু হয়েছিলো এমন হৃদয়বিদারক পরিবেশে। যথারীতি মানববন্ধন, সমাবেশ, মিছিল ছিলো। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো কফিন, পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ক্ষত নিয়ে আর্তনাদ করা শ্রমিক, অবরোধের আগুনে পোড়া গাড়ি।
দুই কফিনে লাশ ও দগ্ধ রোগী ছিল প্রতীকী। তবে হরতাল-অবরোধ সমর্থকদের দেওয়া আগুনে জ্বলে যাওয়া তিনটি বাস ছিল সত্যিকার অর্থে পোড়া।
প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এভাবেই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রমিক নেতা ছাড়াও শত শত পরিবহন শ্রমিক অংশ নেন।
বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতালে গাড়ি জ্বালাও-পোড়াও এবং পরিবহন শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পল্টন থেকে সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত সড়কের এক পাশ বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এ কর্মসূচিতে আনা প্রতীকী কফিনের গায়ে লেখা ছিলো- ‘আমার কি অপরাধ, আমাকে পুড়িয়ে মারল কেন? প্রতীকী দগ্ধ শ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, শ্রমিকের আকুতি, ‘আমি হরতাল ও অবরোধকারীদের পেট্রোলবোমার শিকার। ’ গাড়িগুলো জানান দিয়েছে, ‘আমিও হরতাল-অবরোধের নৃশংসতার শিকার হয়ে অঙ্গার হয়ে অকেজো। ’
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সদস্য সচিব ওসমান আলী, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য মোখলেছুর রহমান, তাজুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫