ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রোকেয়া পদক বিজয়ী মমতাজকে সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
রোকেয়া পদক বিজয়ী মমতাজকে সংবর্ধনা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বেগম রোকেয়া-২০১৪ বিজয়ী নারী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ঐক্য পরিষদ এ সংবর্ধনা প্রদান করে।



শনিবার (৩১ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন রেলপথমন্ত্রী মো. মজিবুল হক। অধ্যাপক মমতাজ বেগম ২০০৯ সাল থেকে ‍জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রেলপথ মন্ত্রী মজিবুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যে ক’জন নারী অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন মমতাজ বেগম তার মধ্যে অন্যতম। নারী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠিত করেছেন মমতাজ। শত বাধা, প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি অস্ত্র কাঁধে যুদ্ধ করেছেন। সহযোগিতা করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। যোগ্য নারীকে জাতি যোগ্য সম্মান দিয়েছে।

তিনি বলেন, মৃদুভাষী এ নারী শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, ৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল, ৬৬ সালে ৬ দফা, ৬৯ সালে ১১ দফা ও গণঅভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও মমতাজ বেগমের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদ এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, মমতাজ বেগম নারী হিসেবে নয় একজন যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, রণাঙ্গন থেকে বীর বেশে এসেও তার আন্দোলন থেমে থাকেনি। সমাজ সেবার পাশাপাশি দেশের স্বার্থে বিভিন্ন আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত মমতাজ বেগম বলেন, দেশ রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’ বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম।

বর্তমানে দেশের সংকটে দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির ও সন্ত্রাসীদের রুখতে আবারও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক মমতাজ বেগম ১৯৪৬ সালের ১৩ এপ্রিল কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনে এমএ, ১৯৭৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

১৯৭০ সালে সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৪ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ উপাধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

মমতাজ বেগম ১৯৭১ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ও ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুকিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শহীদুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব আহমদ উল্যাহ রতন, মহিলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভিন সাকী উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।