কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের খোদাইবাড়ি এলাকায় মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবিতে নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে ৫ জনের মৃতদেহ হাসপাতার মর্গে আনা হয়।
পরে সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার গ্রামের ইমন আলীর ছেলে মাহবুব রানা শিবলুর (২৭) মৃতদেহ তার দুলাভাই শাহাজালালের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শনিবার সকাল ৬টার দিকে কুতুবিদয়া থেকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মামেন পুরের মোল্লাপাড়ার মো. সাত্তার শেখের ছেলে মো.সুইট শেখের (২৪) মৃতদেহ তার বড়ভাই সুমন শেখের কাছে এবং একই জেলার গোবিন্দপুরের দুলু শেখের ছেলে আমজাদ শেখের (২৮) মৃতদেহ তার বাবা দুলা মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মর্গে রাখা অপর ৩ নিহত হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মৃত হাশেম শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৫), নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার লোটনপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সুমন (১৯) ও যশোরের সালসা উপজেলার পন্ডিতপুর গ্রামের অভি বিশ্বাসের ছেলে বাবু (২৫)।
তবে পুলিশ নিহত ৬ জনের পরিচয় পেলেও একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুতুবদিয়া চ্যানেলের খোদাইবাড়ি পয়েন্টে দেড়শ যাত্রী নিয়ে এফভি ইদ্রিস নামে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। সন্ধ্যা নাগাদ ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারের কেবিন থেকে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
