ঢাকা: সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আদালতে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ রায় খুব শিগগিরই প্রকাশ হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ওই দাবি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার জন্য আদালত থেকে সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোল টেবিল মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বাড়ানোর দায়েরকৃত মামলার অগ্রগতি বিষয়ক এক আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এসব তথ্য জানান।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দুই নম্বর আসামি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শিকদারসহ সরকারি চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধারা।
অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় কবে প্রকাশ হবে এটা নির্ধারিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে এ মামলায় রায় খুব দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা ইতিমধ্যে আদালত থেকে রায়ের বিষয়ে সরকারের প্রতি একটি ইতিবাচক নির্দেশনা পাওয়া গেছে।
তবে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা বড় হচ্ছি, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রয়েছে আলাদা মন্ত্রণালয়। অথচ সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের দায়েরকৃত মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা বা আপিল দায়ের করে। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়।
সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, সবাই যেন এ সুযোগ-সুবিধা পান সেদিকে খেয়াল রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। কেউ যেন বঞ্চিত না হন। আমরা দেশের জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছি। তাই কারও প্রতি কোনো বিদ্বেষ রাখতে চাই না।
বক্তারা আরও বলেন, এখনো অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যারা সবকিছু থেকে বঞ্চিত। কিন্তু তাদের কথা আমরা কয়জন বলছি।
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরির বয়স ৬০ বছর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫