ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আতিউর রহমানের ‘তব ভুবনে তব ভবনে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
আতিউর রহমানের ‘তব ভুবনে তব ভবনে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ছবি: রাশেদ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্থসামাজিক ভাবনা বিষয়ক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের রচনা সংকলন ‘তব ভুবনে তব ভবনে’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত বইটির মূল্য ৬০০ টাকা।


 
শনিবার(৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
 
রবীন্দ্রগবেষক ড. আহমদ রফিক’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মমতাজউদদীন আহমদ, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল এবং অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
 
‘তব ভুবনে তব ভবনে’ আতিউর রহমানের ১৫ বছরের কর্মপ্রচেষ্টার ফসল উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, বলেন, নানা ভাবনায় রবীন্দ্রনাথকে বলা বা উপভোগও করা যায়। কিন্তু সবকিছুর মাঝেও রবীন্দ্রনাথের আর্থসামাজিক ভাবনা আমাকে বেশি বেশি আকৃষ্ট করে। আর এই আকর্ষণ ও আগ্রহের ফল এই বইটি।
 
আতিউর বলেন, সংঘাতময় এই পৃথিবীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বজনীনতা নিয়ে বলার শেষ নেই। তাঁর জ্ঞানের পরিধি এত সর্বব্যাপী যে ভাবতেই অবাক লাগে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিশাল প্রতিভাধরের যে বিষয় নিয়েই বলা হোক না কেন, সবটা বলে শেষ করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেন।

তিনি আরও বলেন, সাহিত্যের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথ চর্চা করেন নি। কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, চিঠিপত্র, চিত্রকলা সত্যিকারের বড়ো শিল্পীর মতো তাঁর এসব কাজ একসঙ্গে অনেক কিছু বলে। এক ব্যক্তির মধ্যে ভাবাদর্শ, শিল্প ও পাণ্ডিত্যের এমন শক্তিময় সম্মিলন ঘটেছে এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
 
রবীন্দ্রনাথ শুধু পথ চলেন নি, পথ তৈরিও করেছেন উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, তাঁকে আমরা দেখতে পাই একজন অত্যন্ত বিচক্ষণ, বাস্তববাদী চিন্তাবিদ হিসেবে, একজন সমাজ ও মানব-সংস্কারক হিসেবে। তাঁর মতো ইতিবাচকভাবে সভ্যতাকে দেখা, প্রকৃতিকে দেখা, মানুষকে দেখা, মানবতাকে অনুধাবন করা আর কেউ করেনি। তিনি কৃষি, সমবায়, শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রকৃতি, জাতীয়তা, দারিদ্র্য, আত্মশক্তি ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে কালজয়ী ভাবনা ভেবেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্যে প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন সব রবীন্দ্রভাবনার সন্ধান করার চেষ্টা করেছি এই বইতে। ‘তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য থেকে যদি আমরা আমাদের বাঁচার পথ, আত্মশক্তির পথ খুঁজতে সচেষ্ট হতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রার উন্নয়ন ভাবনার উৎসে আমরা পৌঁছতে পারব। সে উন্নয়ন ভাবনায় একই সাথে থাকবে উৎপাদন, মানুষ, পরিবেশ, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, স্বপ্ন আর ঐতিহ্যলগ্নতা। এ কথা মনে রেখেই আমরা রবীন্দ্রভাবনায় আত্মশক্তির সন্ধান করতে পারি। ’
 
বইটির বিষয়ে গভর্নর বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রবীন্দ্রনাথ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা ‘তব ভুবনে তব ভবনে’ পড়ে বোঝা যাবে। আগামী প্রজন্মের মাঝে রবীন্দ্রনাথের আর্থসামাজিক ও পরিবেশ ভাবনাগুলোকে উজ্জীবিত করতেই আমার (আতিউর রহমান) এই প্রয়াস।
 
বইটি ড. আতিউর রহমান তার স্ত্রী সাহানা ও ৩ কন্যাকে উৎসর্গ করেছেন।
 
বইটির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মমতাজউদদীন আহমদ বলেন, বইটিতে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অত্যান্ত সহজ ও সাবলীল ভাবে বলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথকে অন্তর থেকে ভালো না বাসলে এভাবে লেখা যায় না।
 
বাংলাদেশে সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।