লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরের ঢাকনাই এলাকায় ডাকাতির চেষ্টাকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে, শনিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৩৮), পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আনিচুর রহমান (৩৬), একই গ্রামের কাজিমুল্লার ছেলে নান্টু মিয়া (৪০), ভোলারচওড়া গ্রামের সুলতান আলীর ছেলে শাহীন আলম (৩৯), খোড়াগাছ গ্রামের জলিল মণ্ডলের ছেলে আলতাব হোসেন (৪২) ও কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি এলাকার মজবউদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফ্ফার (৪২)।
লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার সামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরের ঢাকনাই এলাকায় ডাকাতির সময় তাদের একটি মাইক্রোবাসসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ চক্রটি লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গত বছরের আট ডিসেম্বর রাতে লালমনিরহাট শহরের নরসিংদী বস্ত্রালয়ে কয়েক লাখ টাকার কাপড় চুরি করে পিকআপ ভ্যান নিয়ে পালাচ্ছিলো এ চক্রটি।
খবর পেয়ে সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ তিস্তা সড়ক সেতুতে পিকআপ ভ্যানটি আটকের চেষ্টা করলে চক্রটি পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসাদ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বিস্তারিত জানতে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার সামিউল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫