পটুয়াখালী: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র জুবায়ের আহমেদ বাবু হত্যা মামলার রায়ে খুশি হয়েছেন তার বাবা-মা। তবে, পলাতক আসামিদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
জুবায়েরের বাবা নৌ বাহিনীর সাবেক সদস্য মো. তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ছেলে চলে গেছে তাকে ফিরে পাবো না। তবে, আসামিদের বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে, তা যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এতেই জুবায়েরের আত্মা শান্তি পাবে।
তিনি আরও বলেন, তিন বছর পর আজ(রোববার) জুবায়ের হত্যা মামলার রায় ঘোষণায় আমরা খুশি। তবে, পলাতক আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এতে বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি আমরা। তাই আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকরের দাবি রাখছি সরকারের কাছে।
এদিকে, রায় কার্যকরের একই দাবি করেছেন জুবায়েরের মামা খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সামসুর হুদা।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মদিনাবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে জুবায়েরের বাবা বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনীর সদস্য মো. তোফায়েল আহমেদ ও মা গৃহিনী মোসাম্মদ হাসিনা আহমেদের দুই ছেলের মধ্যে জুবায়ের ছিল ছোট। বড় ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন সিলেটের একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন।
ছোট্ট একচালা টিনের ঘরে বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই বসবাস করছেন। দুই ভাইকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। ২০১২ সালের কোরবানির ঈদে শেষবারের
মতো কলাপাড়ার নিজ বাড়িতে এসেছিলেন জুবায়ের। মার সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল জানুয়ারির ৮ তারিখ।
বলেছিল পরীক্ষা শেষ হলে ওইদিন রাতেই গাড়িতে বাড়ি আসবে। কিন্তু তিনি ফিরেছিলেন লাশ হয়ে।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে অনার্স (ইংরেজি) শেষ পর্বের পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা জুবায়েরকে ধরে নিয়ে রড দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করেন।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পর ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের।
জুবায়ের আহম্মেদ কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫