সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধের মধ্যেই রোববার (০৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ৭২ ঘণ্টার হরতাল। তবে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এ হরতালের প্রভাব নেই বললেই চলে।
হরতালের প্রথমদিন সকাল থেকেই লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কেউ ঢাকা ছাড়ছেন আবার কেউ ঢাকায় আসছেন এ টার্মিনাল দিয়েই।
সোমবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সরেজমিনে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এম.ভি পূবালীর (ঢাকা-মহনপুর-দুলারচর) সুপারভাইজার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, হরতালেও যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিকই আছে। সরকারি ছুটির দিন বা কোনো উপলক্ষ ছাড়া অন্যান্য দিনগুলোতে যাত্রীর চাপ যেমন থাকে আজও তেমনি আছে।
স্বর্ণদ্বীপ-৮ এর ( ঢাকা-চাদপুর-হাটুরিয়া) সুপারভাইজার মোহাম্মদ জহিরুল বাংলানিউজকে বলেন, হরতাল থাকলে যাত্রীর চাপ একটু কম হয় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একের পর এক হরতালে মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। আর সে কারণেই এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষ ঘর থেকে হচ্ছেন।
সকাল থেকে যাত্রীর চাপ কেমন? জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হরতালে যেমন হওয়ার কথা তার চেয়ে বহুগুণ বেশিই আছে। সকাল থেকেই যাত্রী আসছেন। তাই আমরাও সময়মতো লঞ্চ ছাড়ছি।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের বার্দিং সারেং (বি.এস) আব্দুর রহমান সিকদার বাংলানিউজকে জানান, স্বাভাবিক নিয়মেই বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৩টি লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। আর ঘাটে ভিড়েছে মোট ৪৬টি লঞ্চ।
হরতালে লঞ্চ চলাচলের সিডিউল নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলেমান বাংলানিউজকে বলেন, পর্যাপ্ত যাত্রী নিয়ে প্রত্যেকটি লঞ্চ স্বাভাবিকভাবেই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে এবং ঘাটেও ভিড়ছে। স্বাভাবিক দিনগুলোর মতো সবকিছু সুন্দরভাবেই চলছে।
কথা হলো চাঁদপুরের যাত্রী পলাশ মণ্ডলের সঙ্গে। পেশায় ব্যবসায়ী তিনি। হরতালের মাঝেও ঢাকার বাইরে যাবার কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ছোট বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান শুক্রবার তাই জরুরী প্রয়োজনে বাড়ি যেতে হচ্ছে। তাছাড়া গত কয়েকদিন হরতাল-অবরোধে রাস্তাঘাটে ঝামেলা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় এখন আর তেমন একটা হয় না। আর এমনিতেই নদী পথে ঝামেলা হয় না বললেই চলে। তাই সাহস করেই বাড়ির পথে রওনা হলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫