ঢাকা: ‘সরকারি করপোরেশন (ব্যবস্থাপনা-সমন্বয়) আইন, ২০১৫’র আবশ্যকতা আছে কি না- তা জানতে ছয় মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
আইনের খসড়া উত্থাপন করা হলেও মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন না দিয়ে বর্তমানে আইনটির আবশ্যকতা আছে কি না- তা পর্যালোচনা করতে ছয় মন্ত্রীকে বলেছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন অনেকগুলো করপোরেশন রয়েছে। করপোরেশনগুলোর কাজের সমন্বয় ও সামঞ্জস্যতার জন্য ‘পাবলিক করপোরেশন ম্যানেজমেন্ট-কোঅর্ডিনেশন অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৬’ প্রণয়ন করা হয়। সামরিক শাসনামলের আইন পর্যালোচনা শেষে বাংলায় প্রণয়ন করে মন্ত্রিসভায় আনার বাধ্যবাধকতা থাকায় এটি মন্ত্রিসভায় আসে।
আইনের আওতায় অর্থমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীকে নিয়ে একটি পরিষদও গঠন করা হয়েছিলো। নতুন আইনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীকে এ পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটির উদ্দেশ্য ভালো হলেও, বাস্তবে এর প্রয়োগ হয়নি। আইনটি বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকর- এটা বলা যাবে না। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পরিষদের পাঁচ মন্ত্রী বসে পর্যালোচনা শেষে আইনটির প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা নির্ধারণ করবে।
১৯৮৬ সালের দিকে করপোরেশনগুলো যতটা কার্যকর ছিলো, এখন সে তুলনায় কার্যক্রম কমে গেছে। কারণ প্রাইভেট সেক্টর আগের তুলনায় অনেক প্রসার লাভ করেছে। এছাড়া করপোরেশনগুলোর জন্য আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এগুলো পরিচালিত হয়। সমন্বয়ের কথা বলা হলেও আইনটি সেভাবে কাজ করেনি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আইন থাকলেও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার জন্য আইনটি করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫