ঢাকা: হরতাল-অবরোধে নাশকতার কারণে ৯টার পর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে রোববার (০৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের পক্ষ থেকে রাত ৯টার পর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৯টার পর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পণ্যবাহী পরিবহন এ সব সময় চলাচল করবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, মালিক সমিতি বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, বরিশালের গৌরনদী, গাইবন্ধার পলাশবাড়ি,
তুলশীঘাট, নওগাঁ এবং রংপুর রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেসব স্থান পরীক্ষা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার পর শিগগিরই দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে আনসার নিয়োগ করে রেল লাইনের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল সেভাবেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, আপতত রাত ৯টার পর দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে। দুই-তিন দিনের মধ্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হলে পরে সার্বক্ষণিক বাস চলাচল করবে।
নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের মালিক-শ্রমিকদের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
খন্দকার এনায়েত বলেন, যোগাযোগ আগের চেয়ে অনেক ভাল। উত্তর বঙ্গের কিছু জায়গা, চট্টগ্রামের দুএকটি জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করতে বলেছি। সম্মিলিতভাবে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হরতাল-অবরোধে সহিংসতায় ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৬৭৪টি আবেদন জানিয়েছি। আগামী সপ্তাহে ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া যাবে। আর ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের তালিকা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫/আপডেট ১৯১১ ঘণ্টা